Description
সুগার ছাড়াও খোরমায় রয়েছে পানি, বিচিত্র মিনারেল যেমন-ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এর বাইরেও রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এ, বি,সি, এবং ই। আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ।
কেবল খোরমাই নয় বরং খোরমার বীচিতেও রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। মরুপ্রান্তীয় মানুষেরা খোরমার বীচি দিয়ে রুটি তৈরি করে। অনেকে আবার খোরমার সঙ্গে একটু মিষ্টি মিশিয়ে পানীয়ও তৈরি করে।
খোরমা দিয়ে যে খাবারই তৈরি করা হোক না কেন মানব দেহের জন্য সেটাই ব্যাপক উপকারী। উচ্চ পর্যায়ের খাদ্যমানের কারণে খোরমা ভেজিটেরিয়ান বা সব্জিভোগীদের কাছেও বেশ প্রিয় একটি খাবার। আমাদের শরীরে যে খাদ্য শক্তির প্রয়োজন হয় খেজুর তা অল্প সময়ের মধ্যেই পূরণ করে। খেজুর দূর করে শুষ্ক কাশি। এজমার জন্যও এটি উপকারী। উচ্চমাত্রার শর্করা,ক্যালরি ও ফ্যাটসম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা,শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
খোরমার বিচিত্র উপকারী দিক নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। খোরমা মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। শিশুদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী। খোরমা যৌবন শক্তি অর্জনের পাশাপাশি শরীরে অ্যানার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বকের সজীবতার জন্য, দৈহিক সুস্থতার জন্য এমনকি আত্মিক প্রশান্তির জন্যও খোরমা বেশ ইতিবাচক। খোরমায় ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এর মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের ক্যানসার প্রতিরোধক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতেও খোরমা তুলনাহীন একটি ফল। সব মিলিয়ে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে খোরমা। ইমিউন সিস্টেম আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ও টক্সিন যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও পরজীবী যা চারপাশের পরিবেশ থেকে আসে তা থেকে সুরক্ষা দেয়।
Reviews
There are no reviews yet.