এলার্জির কারণে শিশুদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে ব্রংকিওলাইটিস অন্যতম। মা-বাবার অ্যাজমা থাকলে সন্তানেরও রোগটির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আর এসব লক্ষণ অল্প বয়স থেকেই প্রকাশ পেতে থাকে। শিশুরও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
প্রথম কথা হলো, শ্বাসকষ্ট হলে বড়দের জন্য যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, শিশুর ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা মানতে হবে। শিশুকে ঠাণ্ডায়, এসি অথবা ফ্যানের নিচে ঘুমাতে দেওয়া যাবে না। শিশুর বুকে ঠাণ্ডা লাগে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
শিশুকে সব সময় পরিমাণ মতো খাবার দিতে হবে। সব ধরনের সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। নিয়মিত সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। কারণ যেসব শিশুর ভিটামিন ‘ডি’ ঘাটতি রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। আর ভিটামিন ডি’র মূল উৎস সূর্যের আলো।
অনেক সময় শিশুর এ ধরনের সমস্যা বাড়লে মন্টিলুকাস্টের সাথে কিছু দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন করা লাগতে পারে। মনে রাখবেন, শিশুর দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট একটি বড় রোগের ডেভলপমেন্ট করতে পারে।
তবে আশার কথা হলো, এ ধরনের সমস্যা শিশু বয়সে থাকলেও অনেকেই প্রাপ্তবয়স্কের পর্যায়ে গেলে তা চলে যায়। যে শিশুর কাশি আছে, দেখতে হবে কাশি কেন হচ্ছে, অ্যালার্জির কোনো সমস্যা রয়েছে কিনা, নাক দিয়ে পানি ঝরে কিনা ভালো করে দেখতে হবে।
এক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ অথবা এক মিলিগ্রামের একটি ওষুধ রাতে খাওয়াতে পারেন। ঠাণ্ডা থেকে শিশুকে রক্ষায় নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। শিশুদের জন্য যেসব টিকা রয়েছে, সবগুলো কোর্স পূর্ণ করতে হবে।
শিশুদের ভেজা মাটি রাখা যাবে না। পানিতে খেলাধুলার সুযোগ কম দিতে হবে। শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাদের গরম পোশাক, শীতকালে মাফলার পরিয়ে বাইরে বের করতে হবে। তাদের সন্ধ্যা ও ভোরে বাইরে যেতে দেওয়া যাবে না।
সমস্যা সিভিআর হলে, কাশি কোনোভাবেই না কমলে, ফুসফুসের রোগ থাকলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে হবে।
লেখক: ডা. শামীম আহমেদ
সহযোগী অধ্যাপক ও বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ